বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:: আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর মুক্ত দিবস।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে জগন্নাথপুর উপজেলা মুক্ত করা হয়েছিল। তবে কীভাবে জগন্নাথপুর শক্রুর কবল থেকে মুক্ত হয়েছে সেবিষয়ে কোন সুনিদিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এই দিনেই মুক্ত দিবস পালন করে আসছেন। দিবস পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। জগন্নাথপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুল কাইয়ূম জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের আয়োজন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে যায় যায়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা এক অন্যতম ইতিহাস বহুল উপজেলা হিসেবে স্বীকৃত। বৃহত্তর সিলেট বিভাগের মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলায় ঘটেছে দুইটি মর্মস্পশী গণহত্যা।
ইতিহাস মতে, ২৭ আগষ্ট শুক্রবার ভোরে প্রায় ৫ শতাধিক পাকসেনা স্থানীয় রাজাকারদের নিয়ে জগন্নাথপুরে আসে। এবং হবিবপুর গ্রামের রাজাকার এহিয়ার বাড়িতে উঠে। সেখানে রাজাকারদের নিয়ে বৈঠক করে জগন্নাথপুর থানা আক্রমনের পরিকল্পনা করা হয়। পরদিন সকালে পাকিস্তান জিন্দাবাদ, এহিয়া খান জিন্দাবাদ ও শেখ মুজিব মুর্দাবাদ ধ্বনি দিয়ে ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে আতংক সৃষ্টি করে জগন্নাথপুরে প্রবেশ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয় মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা বিনা বাঁধায় মুক্তাঞ্চল হিসেবে থাকা জগন্নাথপুর উপজেলাকে তাদের দখলে নিয়ে যায়।
ওই দিনই পাকবাহিনীর সহযোগিতায় রাজাকাররা জগন্নাথপুরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতে লুটপাটসহ মানুষের ওপর বিভিন্ন ভাবে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধে জগন্নাথপুরের শ্রীরামসী গ্রামে ৩১ আগষ্ট ইতিহাসের নির্মম গণহত্যা এবং এই ঘটনার একদিন পর ১ সেস্টেম্বর রানীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর তীরে গণহত্যা চালানো হয়। রানীগঞ্জ ও শ্রীরামসিবাসী দিবসটি প্রতি বছর পালন করে আসছে।
Leave a Reply